Apply Now

চুক্তির শর্তাবলী

  • আল-ওয়াদীয়াহ্ চলতি হিসাবটি অর্থ জমাকারী গ্রাহক এবং আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিঃ-এর মধ্যে সম্পাদিত ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক একটি আল-ওয়াদীয়াহ্ চুক্তি।
  • গ্রাহক কর্তৃক এ হিসাবে জমাকৃত অর্থ ব্যাংকে যথাযথ হেফাজত করবে এবং গ্রাহক কর্তৃক চাহিবামাত্র এ অর্থের আংশিক/সম্পূর্ণ(গ্রাহকের প্রয়োজনানুসারে) ফেরত প্রদানে ব্যাংক বাধ্য থাকবে।
  • গ্রাহক কর্তৃক এ হিসাবে জমাকৃত অর্থ আল-ওয়াদীয়াহ্ নীতিমালার ভিত্তিতে অন্যান্য জমার (Deposit) সাথে একত্রিত করে ব্যাংক শরীয়াহ্ সম্মতভাবে বিনিয়োগ করতে পারবে তবে অর্জিত মুনাফা বা লোকসানে গ্রাহক অংশীদার হবে না।

হিসাব পরিচালনার নিয়ামাবলী

  • ১. আল-ওয়াদীয়াহ্ চলতি হিসাব খোলার সময় পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি (পরিচয়দানকারী কর্তৃক সত্যায়িত), পাসপোর্ট/জাতীয় পরিচয়পত্র, ওয়ার্ড কমিশনার কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রদত্ত নাগরিকত্ব সনদ/ নিয়োগকর্তা প্রদত্ত পরিচিতিপত্র অথবা ব্যাংকের নিকট গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি প্রদান করতে হবে ।
  • ২. শুধুমাত্র সুস্থ মস্তিস্ক ও প্রাপ্ত বয়স্ক কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ একক বা যৌথনামে এবং যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,ক্লাব,এসোসিয়েশন,আর্থ-সামাজিক প্রতিষ্ঠান এ হিসাব খুলতে পারেন। নাবালক/নাবালিকার নামেও তার পিতা/মাতা/আইনগত অভিভাবকগন এ হিসাব খুলতে পারেন।
  • ৩. ব্যাংকের নিকট গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি/চলতি হিসাব ধারকের পরিচিতিতে উক্ত হিসাব খোলা যায় । আল-ওয়াদীয়া চলতি হিসাব খোলার জন্য ন্যুনতম টাকা ২০০০/- প্রাথমিকভাবে জমা দিতে হয় এবং ন্যুনতম স্থিতি টাকা-২০০০/- সহ প্রযোজ্য হারে ন্যুনতম সরকারী শূল্কের সমপরিমাণ টাকার স্থিতি সংরক্ষণ করতে হবে অন্যথায় ব্যাংক গ্রাহক প্রদত্ত চেক ফেরত দেয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে।
  • ৪. একাউন্ট মেইনটেনেন্স ফি বাবদ ষান্মাসিক ভিত্তিক নির্দিষ্ট হারে চার্জ বিকলন করা হয় । এছাড়াও ব্যাংক গ্রাহকের হিসাব থেকে প্রয়োজনীয় খরচের টাকা কেটে নিতে পারবে। হিসাব বন্ধকরনের ক্ষেত্রে হিসাব বন্ধকরন চার্জ কর্তন করা হয়।
  • ৫. হিসাবধারক অব্যবহৃত চেক বই ফেরত দিয়ে যথাযথ স্বাক্ষর ও ব্যাংক কর্তৃক সরবরাহকৃত চেকের মাধ্যমে যে কোন সময় হিসাবটি বন্ধ করতে পারবেন।
  • ৬. ব্যাংক লেনদেন চলাকালীন সময়ে একাধিবার অর্থ জমাকরণ ও ব্যাংক কর্তৃক সরবারাহকৃত চেকের মাধ্যমে টাকা উঠানো যায়। এ ক্ষেত্রে নেগোশিয়েবল ইনষ্ট্রমেন্ট এ্যাক্ট-এর সকল ধারা প্রযোজ্য হবে।
  • ৭. গ্রাহককে প্রথম চেক বইয়ের জন্য হিসাব খোলার আবেদন ফরমে ‘চেক বই ইস্যুর চাহিদাপত্র’ অংশটুকু পূরণ করতে হয় এবং পরবর্তী সময়ে চেক বইয়ে সরবরাহকৃত রিকুইজিশন স্লিপ এর মাধ্যমে নতুন চেক বইয়ের জন্য আবেদন করতে হয়।
  • ৮. চেক বই নেয়ার সময় চেক বইয়ের পাতা গুণে নিতে হয় এবং চেক বই নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করতে হয় যেন কোন চেক চুরি বা খোয়া না যায় । চুরি বা খোয়া যাওয়া কোন চেকের মাধ্যমে জালিয়াতি সংঘটিত হলে সেক্ষেত্রে ব্যাংক দায়ী থাকবে না।
  • ৯. হিসাব ধারককে ব্যাংকে সরবরাহকৃত নমুনা স্বাক্ষর অনুযায়ী চেকে সহি করতে হয় এবং নমুনা স্বাক্ষর পরিবর্তন করলে তদানুযায়ী পূর্বাহ্নে ব্যাংককে জানাতে হয়।
  • ১০. ব্যাংক সকল হিসাবধারককে ভিন্ন ভিন্ন হিসাব নম্বর সরবরাহ করে। হিসাবে (Account) নগদ টাকা কিংবা চেকের অর্থ জমা দেয়ার ক্ষেত্রে হিসাব নম্বর ও হিসাবের শিরোনাম উল্লেখ করে জমাকারীকে যাথাযথা জমার রসিদ পূরণ করে নগদ টাকা, চেক ইত্যাদি জমা দিয়ে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যাংক অফিসারের স্বাক্ষর সম্বলিত সন্তোষজনক রসিদ নিতে হয়। চেক জমা দেয়ার সময়ে চেকে আড়াআড়ি দাগ কেটে দিতে হয়।
  • ১১. চেকের টাকা উত্তোলন/পরিশোধ বন্ধ(Stop payment) রাখার বিষয়ে গ্রাহক কর্তৃক কোন নির্দেশ বা আইনগত বাধা থাকলে ব্যাংক সতর্কতার সঙ্গে তা নথিভূক্ত করে এবং উল্লেখিত নিষেধাজ্ঞা দূরীভূত না হওয়া পর্যন্ত হিসাব পরিচালনা বন্ধ থাকবে।
  • ১২. যে সব হিসাবে আদালতের ক্রোকাদেশ রয়েছে অথবা হিসাব পরিচালনার ক্ষেত্রে যথাযথ আদালত বা/এবং অন্য কোন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সে সমস্ত হিসাব পৃথকভাবে চিহ্নিত থাকবে এবং উল্লেখিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত হিসাব পরিচালনা বন্ধ থাকবে ।
  • ১৩. ষান্মাসিক ও বার্ষিক ভিত্তিতে অর্থাৎ বছরে দুবার গ্রাহকের চাহিদা মোতাবেক ব্যাংক হিসাব বিবরণী/স্থিতি নিশ্চিতকরণ সনদ বিনামূল্যে সরবরাহ করে। তবে দুবারের বেশী এ হিসাব বিবরণী /সনদ নিতে হলে গ্রাহককে ব্যাংকের নির্ধারিত চার্জ প্রদান করতে হবে ।
  • ১৪ . ব্যাংক প্রদত্ত চেকবই হারিয়ে গেলে বিষয়টি নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরীভূক্ত করে উহার সত্যায়িত কপিসহ হিসাবধারী ব্যক্তিগতভাবে সংশ্লিষ্ট শাখায় উপস্থিত হয়ে একটি নতুন চেক বই ইস্যু করার জন্য লিখিত অনুরোধপত্র দাখিল করবে। কোন অবস্থাতেই হারোনো চেক বই-এর পরিবর্তে নতুন চেক বই গ্রাহক ছাড়া তৃতীয় ব্যক্তির নিকট (হিসাবধারী কর্তৃক লিখিত ক্ষমতাপ্রাপ্ত হলেও) হস্তান্তর করা হবে না । উক্ত অনুরোধপত্রে প্রদত্ত স্বাক্ষর শাখা ব্যবস্থাপক কর্তৃক নিরীক্ষান্তে সঠিক প্রতীয়মান হলে তিনি নিজ স্বাক্ষরে সত্যায়িত করবেন । শাখার কোনো মূল্যবান গ্রাহকের ক্ষেত্রে শাখা ব্যবস্থাপক ব্যক্তিগতভাবে চেক হারানোর বিষয়ে সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হলে থানায় জিডি এন্ট্রির/ব্যক্তিগত উপস্থিতির শর্ত শিথিল করা যেতে পারে।
  • ১৫. হিসাব ধারকের ঠিকানার যে কোন পরিবর্তন হলে অবিলম্বে তা ব্যাংককে জানাতে হবে । ব্যাংক ডাকযোগে জমাকারীর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে। ডাকযোগে প্রেরিত কোন চিঠিপত্র/ইন্সট্রমেন্ট ইত্যাদি যথা সময়ে বা আদৌ বিলি না হলে ব্যাংকের উপর কোন দায়িত্ব বর্তাবে না।
  • ১৬. কোনরূপ চুক্তি না থাকলে দুই বা ততোধিক ব্যক্তির নামে পরিচালিত হিসাবের অন্তর্গত এক বা একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হলে প্রাপ্য অর্থ আইন ও বিধি মোতাবেক জীবিত গ্রাহক/নমিনী(গন) পেয়ে থাকে । উক্ত হিসাবে /হিসাবের সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো বিনিয়োগের টাকা ব্যাংকের পাওনা থাকলে জীবিত বা জীবিতগন তা পরিশোধ করতে বাধ্য থাকে।
  • ১৭. হিসাবধারীর নিকট ব্যাংকের কোন পাওনা থাকলে ব্যাংক হিসাবে রক্ষিত জমা স্থিতির উপর সাধারণ পূর্বশর্ত অথবা অন্যকোন ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রয়োগ করার এবং তা প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যাংকের পাওনা পরিশোধের অধিকার সংরক্ষণ করে।
  • ১৮. গ্রাহকের হিসাবে ব্যাংক সতর্কতার সাথে আকলন/বিকলন করে । ভূলবশতঃ কোন অর্থ আকলিত/বিকলিত হলে ব্যাংক তা সংশোধন করার অধিকার সংরক্ষণ করে।
  • ১৯. সরকারী বিধি মোতাবেক উক্ত হিসাব থেকে কর/শুল্ক কর্তন করা হয়।
  • ২০. ব্যাংক কোনোরূপ কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে যেকোন হিসাব বন্ধ করতে পারবে এবং এ জন্য কোনো নোটিশ প্রদান করা হয়না।
  • ২১. আদালত,সরকার ,কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা অন্যকোন যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আদিষ্ট হলে ব্যাংক গ্রাহকের হিসাব সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি হিসাব গ্রাহকের অনুমতি ব্যতীত প্রদান করতে পারবে ।
  • ২২. মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও নীতিমালা, সন্ত্রাস বিরোধী আইন এবং দেশের বিদ্যমান অন্য কোন আইন অনুযায়ী গ্রাহক ব্যাংকের চাহিদা মোতাবেক যে কোন তথ্য সরবারাহ করতে বাধ্য থাকবে।
  • ২৩ . ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানী আইনানুযায়ী ১০ (দশ) বছর ও তদুর্ধ্ব মেয়াদ পর্যন্ত কোন হিসাবে লেনদেন না হলে সংশ্লিষ্ট হিসাবটি অদাবীকৃত হিসাবে গণ্য করে উক্ত হিসাবের স্থিতি বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থানান্তর করে দেয়া হয়।
  • ২৪. উপরোক্ত নিয়মাবলী ছাড়াও হিসাব সংক্রান্ত যে কোন বিরোধ/ জটিলতার উদ্ভব হলে দেশের প্রচলিত আইন ও বিধি বিধান অনুসারে নিষ্পত্তি হবে।
  • ২৫. ব্যাংক যে কোন সময় এ হিসাব সংক্রান্ত যে কোন নিয়ামাবলী পরিবর্তন, পরিবর্ধন,পরিমার্জন, সংশোধন বা বাতিল করতে পারে এবং হিসাব ধারক তা মেনে চলতে বাধ্য থাকবে ।

Fill Form Below &
Our expert support team will get in touch with you shortly

    Please prove you are human by selecting the key.