০১. শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের নিজের নামে বা তাদের মনোনীত ব্যক্তি/পোষ্যের নামে এ স্কীমের আওতায় এক বা একাধিক ডিপোজিট হিসাব খুলতে পারবে।
০২.স্কীমের মেয়াদঃ ৫বছর।
০৩. এ স্কীমের আওতায় অর্জিত মুনাফার ওপর গ্রাহকদের আয়কর বহন করতে হবে না।
০৪. মাসিক জমার পরিমান যথাক্রমে ৩৭৫০/-, ৬৩০০/-, ৮৮০০/-, ১২৬০০/- ও ১৫১০০/- টাকা।
এ স্কীমে সাধারণ ডিপোজিট স্কীমের চেয়ে মুনাফা অধিক।
০৫. এ স্কীমের আওতায় প্রবাসী বাংলাদেশীরা জমানো টাকা ব্যাংকের মুনাফাসহ নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে এককালীন অথবা মাসিক ভিত্তিতে পেনশন ভাতা বাবদ অর্থ গ্রহণ করতে পারবেন।
০৬. ইসলামী শরীয়াহ্ ভিত্তিক মুদারাবা নীতিমালার ভিত্তিতে এ হিসাবে জমা গ্রহণ করা হয়।
হিসাব পরিচালনা নিয়ম
০৭. হিসাব খোলার আবেদন পত্রের সঙ্গে পাসপোর্ট এবং ভিসা/ওয়ার্ক পারমিটের সত্যায়িত ফটোকপি থাকতে হবে।
০৮.প্রবাসীরা যে অংকের মাসিক কিস্তির জমার হিসাব খুলবেন তার সমপরিমান অংকের বৈদেশিক রেমিট্যান্সের অর্থ আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের মনোনীত ব্যাংক/এক্সচেঞ্জ কোম্পানী/মানি ট্রান্সফার কোম্পানীর মাধ্যমে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের যে শাখায় হিসাব খোলা হয়েছে সেই শাখার বরাবরে প্রেরণ করবেন।
হিসাবের সুবিধা
(ক) মেয়াদান্তে এককালীন গ্রহণ অথবা পরবর্তী ১০ বছর মেয়াদে বর্ধিত হারে পেনশন গ্রহণ।
(খ) যে কোন কার্য দিবসে মাসিক কিস্তির টাকা জমা দেয়া যাবে। যে কোন পরিমান কিস্তির অগ্রিম জমা সবসময়ই গ্রহণযোগ্য হবে।
(গ) মেয়াদ পূর্তির আগে ভাঙ্গালেও আকর্ষণীয় মুনাফা।
০৯. এ স্কীমের আওতায় সঞ্চয়কারী মেয়াদ পূর্তির আগে কোন টাকা উত্তোলণ করতে পারবেন না। তবে অনিবার্য কারণবশতঃ কোন সঞ্চয়কারী মেয়াদ পূর্তির আগে সঞ্চয়কৃত টাকা উত্তোলন করতে চাইলে-
(ক) হিসাবের মেয়াদ ৬ (ছয়) মাসের কম হলে কোন প্রকার লভ্যাংশ পাবে না।
(খ) হিসাবের মেয়াদ ৬ (ছয়) মাসের অধিক কিন্তু ৩ বছরের মধ্যে ভাঙ্গালে মুদারাবা সঞ্চয়ী আমানত হিসাবের হারে মুনাফাসহ আসল টাকা ফেরত পাবেন।
(গ)হিসাবের মেয়াদ ৩ মাসের অধিক হলে গ্রাহক মুদারাবা সঞ্চয়ী আমানত হিসাবের চেয়ে ১% বেশী হারে মুনাফাসহ আসল টাকা ফেরত পাবেন।
(ঘ)হিসাবধারী ৬টি কিস্তি জমা দিতে ব্যর্থ হলে হিসাবটি বন্ধ বলে গণ্য হবে। এ ক্ষেত্রে উপরে বর্ণিত ১১ নং অনুচ্ছেদের বর্ণিত নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
বিনিয়োগ সুবিধা
১০. ডিপোজিট রিসিপ্ট আমানত (Pledge)/ হিসাব লিয়েন করে জমাকৃত টাকার ৮০% পর্যন্ত বাইমুয়াজ্জাল, মুরাবাহা-টি, আর অথবা এম.পি.আই-টি, আর সর্বোচ্চ ১ বৎসর মেয়াদে বিনিয়োগ করা যাবে। এ বিনিয়োগের জন্য ব্যাংককে প্রযোজ্য হারে মুনাফা প্রদান করতে হবে।
আমানতকারীর মৃত্যু হলে
১১. আমানতকারীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট হিসাবে লেনদেন বন্ধ থাকিবে, তবে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে হিসাবে মুনাফা যথারীতি প্রদেয় হবে। মুনাফাসহ জমাকৃত অর্থ মনোনীত ব্যক্তিকে প্রদান করা হবে। মনোনয়ন না থাকলে উত্তরাধীকার প্রমান পত্র নিয়ে আমানতকারীর আইনগত উত্তরাধীকারীদেরকে মুনাফাসহ জমাকৃত অর্থ প্রদান করা হবে।
অন্যান্যঃ
১২. এ স্কীমের আওতায় আমানতকারীর সংশ্লিষ্ট শাখায় সংরক্ষিত তাঁর হিসাব থেকে নিয়মিত কিস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে শাখাকে স্থায়ী নির্দেশনা (Standing Instruction) প্রদান করতে পারেন।
১৩. খেলাফি কিস্তির জন্য আনুপাতিক হারে মুনাফা কমে যেতে পারে।
১৪. মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আলোকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেয়ার অধিকার ব্যাংক সংরক্ষণ করে।
১৫. ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় মুদারাবা প্রবাসী কল্যান ডিপোজিট পেনশন স্কীম (MPDPS) সংক্রান্ত যে কোন নিয়মাবলী আংশিক বা সম্পূর্ন পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন বা বাতিল করতে পারবে এবং জমাকারী তা মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন।
Fill Form Below & Our expert support team will get in touch with you shortly