Apply Now

মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাব: পোশাক শিল্প শ্রমিক" হিসাবে শর্তাবলী ও নিয়মাবলী

  • ০১. যে কোন পোশাক শিল্প শ্রমিক ন্যূনতম ১০০.০০ (একশত) টাকা জমা প্রদান এবং সংশ্লিষ্ট নিয়মাবলী পরিপালন সাপেক্ষে এ হিসাব খুলতে পারবেন। হিসাব খোলার পর হিসাবধারী যথারীতি জমা এবং উত্তোলনের মাধ্যমে এ হিসাব পরিচালনা করবেন।
  • ০২. পোশাক শিল্প শ্রমিক যে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত আইডি কার্ড এবং জাতীয় পরিচয় পত্র এর সত্যায়িত ফটোকপিসহ হিসাবধারীর ০২ কপি (পরিচয়দানকারী কর্তৃক সত্যায়িত) এবং নমিনী এর এক কপি (হিসাবধারী কর্তৃক সত্যায়িত) সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙীন ছবি হিসাব খোলার সময় জমা দিতে হবে।
  • ০৩. হিসাব খোলার সময় ব্যাংকের নিকট গ্রহণযোগ্য কোন গ্রাহক/ব্যক্তির দ্বারা পরিচিতি প্রদান করতে হবে। পোশাক শিল্প শ্রমিকগণ হিসাব পরিচালনার ব্যাপারে অনভিজ্ঞ হলে শাখা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
  • ০৪. এ হিসাব হতে কোন প্রকার সার্ভিস চার্জ/একাউন্ট মেইনটেন্যান্স ফি (Account Maintenance Fee), চেক বই ইস্যু চার্জ বা অন্য কোন প্রকার চার্জ আদায় করা হবে না।
  • ০৫. এ হিসাবে মুনাফা প্রদানের জন্য ন্যূনতম স্থিতি রাখার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। এ হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ করা যাবে।
  • ০৬. সংশ্লিষ্ট হিসাবে বছরে দুইবার (জুন এবং ডিসেম্বর মাসে) সাময়িক (Provisional) হারে মুনাফা প্রদান করা হয়, যা বার্ষিক চুড়া›ত লাভ/ লোকসান হিসাবের ভিত্তিতে সমন্বয়/ নি®পন্ন করা হয়। উক্ত হিসাব হতে সরকারী নিয়মানুযায়ী ভ্যাট, কর বা শুল্ক কর্তন করা হয়।
  • ০৭. এ হিসাবে মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাবের নিয়মাবলী পরিপালন সাপেক্ষে মুনাফা প্রদান করা হবে। বার্ষিক লাভ লোকসান হিসাব চুড়া›ত হওয়ার পূর্বে হিসাব বন্ধ করলে সাময়িক হারে মুনাফা (Provisional Profit) প্রদান করা হয়, পরবর্তীকালে মুনাফার চূড়া›ত হার ঘোষণার পরে ঘোষিত চুড়া›ত হার সাময়িক হারের চেয়ে বেশী হলে তা হিসাবধারকের সঞ্চয়ী হিসাবে/ পে-অর্ডারের মাধ্যমে প্রদান করা হবে। ঘোষিত চুড়া›ত হার সাময়িক হারের চেয়ে কম হলে ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোন দাবী থাকবে না।
  • ০৮. মাসের যে কোন তারিখে লেনদেন চলাকালীন সময়ে টাকা জমা করা যায়। তবে মাসের ০৬ তারিখ হতে শেষ তারিখের মধ্যে সংরক্ষিত সর্বনিম্ন স্থিতি লাভ প্রদানের নিমিত্তে সে মাসের জমা হিসাবে বিবেচিত হবে। সর্বাধিক সপ্তাহে দু’বার, মাসে চার বার এবং প্রতিবারে জমা স্থিতির ১/৪ অংশ অথবা ৫০,০০০.০০ টাকার মধ্যে যা কম সে পরিমান বিনা নোটিশে উত্তোলন করা যায়। উলে­খিত পরিমানের চেয়ে বেশী টাকা উত্তোলন করতে চাইলে সাত দিন পূর্বে নোটিশ প্রদান করতে হয়। নোটিশ দিয়ে টাকা উত্তোলন করলে জমাস্থিতি মুনাফা লাভের জন্য বিবেচিত হয়। অন্যথায় সে মাসের জন্য উক্ত হিসাবের উপর লাভ প্রদান করা হয় না।
  • ০৯. হিসাবধারীকে ষান্মাসিক ও বাৎসরিক ভিত্তিতে বৎসরে দুই বার কোন চার্জ ছাড়া স্থিতি নিশ্চিতকরণ সনদ (Balance Confirmation Certificate) প্রদান করা হয়। ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে লিখিত কোন অভিযোগ না পেলে হিসাবের স্থিতি সঠিক আছে বলে ধরে নেয়া হয়।
  • ১০. গ্রাহকের হিসাবে ব্যাংক সতর্কতার সাথে আকলন/বিকলন করে। ভুলবশত: কোন অর্থ আকলিত/বিকলিত হলে ব্যাংক তা সংশোধন করার অধিকার সংরক্ষণ করে।
  • ১১. ব্যাংক কোনরূপ কারণ দর্শানো / নোটিশ প্রদান ছাড়াই যে কোন হিসাব বন্ধ করতে পারবে ।
  • ১২. হিসাবধারকের ঠিকানার কোন পরিবর্তন হলে অবিলম্বে তা ব্যাংককে জানাতে হবে। ব্যাংক সাধারণতঃ ডাক/ কুরিয়ার যোগে হিসাব ধারকের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে। ডাক/ কুরিয়ার যোগে প্রেরিত কোন চিঠিপত্র যথাসময়ে বা আদৌ বিলি না হলে ব্যাংক দায়ী থাকবে না।
  • ১৩. হিসাবধারকের মৃত্যুর পর সংশি­ষ্ট হিসাবের জমাকৃত অর্থ উত্তোলনের জন্য নমিনী/নমিনীগণকে নিম্নলিখিত কাগজপত্র/সনদসমূহ দাখিল করতে হবে।
    • (ক) নমিনী/নমিনীগণের পাসপোর্ট আকারের সত্যায়িত ছবি সহ আবেদনপত্র।
    • (খ) রেজিষ্টার্ড ডাক্তার/ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/সিটি কর্পোরেশন বা মিউনিসিপ্যালিটির ওয়ার্ড কমিশনার কর্তৃক ইস্যুকৃত হিসাবধারকের মৃত্যুজনিত সনদপত্র (Death Certificate)। প্রবাসে মৃত্যু হলে মৃত্যুজনিত সনদপত্র সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দুতাবাস/কনসাল অফিস কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত হতে হবে।
    • (গ) জাতীয় পরিচয়পত্র (National ID Card)/ পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি।
    • (ঘ) নমিনী/নমিনীগণের পরিচিতির স্বপক্ষে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/সিটি কর্পোরেশন বা মিউনিসিপ্যালিটির ওয়ার্ড কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র।
    • (ঙ) নন জুডিসিয়াল ষ্টাম্পে নমিনী/নমিনীগণ কর্তৃক প্রদত্ত ইনডেমনিটি বন্ড।
  • ১৪. সরকার, আদালত, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা অন্য কোন যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আদিষ্ট হলে গ্রাহকের অনুমতি ব্যতীত ব্যাংক গ্রাহকের হিসাব সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি প্রদান করতে পারবে।
  • ১৫. মানি-লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, সন্ত্রাস বিরোধী আইন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মানি-লন্ডারিং প্রতিরোধ বিভাগ কর্র্তৃক সময়ে সময়ে জারীকৃত সার্কুলার/ নীতিমালা অনুযায়ী গ্রাহক ব্যাংকের চাহিদা মোতাবেক তথ্য সরবরাহ করতে এবং তদানুসারে হিসাব পরিচালনা করতে বাধ্য থাকবেন।
  • ১৬. ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানী আইন অনুযায়ী ১০ (দশ) বছর ও তদুর্ধ্ব মেয়াদ পর্যন্ত কোন হিসাবে লেনদেন না হলে সংশ্লিষ্ট হিসাবটি অদাবীকৃত (Unclaimed) হিসেবে গণ্য করে উক্ত হিসাবের স্থিতি বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থানান্তর করা হবে।
  • ১৭. এ হিসাব অর্থ জমাকারী গ্রাহক এবং আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এর মধ্যে স¤পাদিত ইসলামী শরীয়াহ্ ভিত্তিক একটি মুদারাবা চুক্তি।
    • ক. এখানে অর্থ জমাকারী গ্রাহক হচ্ছে ‘সাহিবুল-মাল’ (অর্থের মালিক) এবং ব্যাংক হচ্ছে ‘মুদারিব’ (ব্যবসা পরিচালনাকারী)।
    • খ. ইসলামী শরীয়াহ্ নির্দেশিত মুদারাবা নীতিমালার ভিত্তিতে ব্যাংক এ অর্থ জমা গ্রহণ করে এবং শরীয়াহ্ সম্মতভাবে বিনিয়োগ করে।
    • গ. ব্যাংক মুদারাবা তহবিল বিনিয়োগ করে প্রাপ্ত আয়ের শতকরা ৭০ ভাগ মুদারাবা জমাকারীদের মধ্যে ওয়েটেজ ভিত্তিতে বন্টন করে। বিনিয়োগে লোকসান হলে মুদারাবা জমাকারীগণ তা বহন করবেন।
    • ঘ. এ ছাড়া উক্ত হিসাবের জন্য মুদারাবা চুক্তির অন্যান্য শর্তাবলী প্রযোজ্য হবে।
  • ১৮. উপরোক্ত নিয়মাবলী ছাড়াও হিসাব সংক্রান্ত কোন বিরোধ/জটিলতার উদ্ভব হলে বিষয়টি দেশের প্রচলিত আইন ও বিধি অনুসারে নিষ্পত্তি করা হবে।
  • ১৯. ব্যাংক সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনানুসারে এ হিসাব সংক্রান্ত কোন নিয়মাবলীর পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন বা বাতিল এবং নতুন কোন নিয়ম/ নিয়মাবলী অন্তর্ভূক্ত করতে পারবে যা হিসাবধারী /হিসাব পরিচালক মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন।

Fill Form Below &
Our expert support team will get in touch with you shortly

    Please prove you are human by selecting the star.